beauty tips
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কয়েকটি ঘরোয়া ফেসপ্যাক

প্রাকৃতিকভাবে তৈরি ফেসপ্যাক উজ্জ্বল,কোমল ,ব্রনমুক্ত, দাগহীন,হাইড্রেট ও প্রাণবন্ত রাখতে বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ।
হলুদ ,মধু এবং দুধের ফেসপ্যাক
একটি পাত্রে ১/৪ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো, এক চা চমচ মধু, এবং এক চা চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন।প্যাকটি ব্যবহারের আগে ত্বক ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর হলুদের প্যাক-টি ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। আস্তে আস্তে ম্যসেজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এই প্যাকের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-সেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণে মুখের নানা সমস্যাই সমাধান হবে।।এটি ত্বককে হাইড্রেট করে নরম ও কোমল করে।ব্রন হবার প্রবণতা কমায়। ত্বকের রিংকেল ও মৃত কোষ দূর করে।ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে মধুর পরিবর্তে গোলাপ জল ব্যবহার করবেন।
তরমুজের ফেসপ্যাক
এক চা চামচ তরমুজের রস ও এক চামচ টকদই নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন , আপনার মুখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।এই ফেসপ্যাকে আছে ল্যাকটিক এসিড ও এনজাইম যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।ত্বক শুষ্ক হলে টকদইয়ের পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে হবে।
হলুদ ও আ্যলোভেরার ফেসপ্যাক
আ্যলোভেরার জেলের সাথে এটা চিমটি হলুদের গুঁড়া এবং দুধের সর মিশিয়ে ফেইসে অ্যাপ্লাই করুন ২০-৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।অ্যালোভেরার ৯৮ শতাংশই পানি হওয়ায় এটি ত্বকে খুব ভালো কাজ করে। এতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল প্রোপার্টিজ যা চোখের চারপাশের কালো দাগ, ব্রণের দাগ, বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর হয়। সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়।
মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক
১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ১টেবিল চামচ টমেটোর রস ও ১ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়া
একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।
এই প্যাকটি ফেইসে দিয়ে অপেক্ষা করুন ১০/১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে হালকা রাব করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ফেইস ধুয়ে নিন।এটি ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য কর ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
কমলার খোসা ও চন্দনের ফেসপ্যাক
দুই টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়া, এক টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া আর গোলাপজল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন।ত্বকে 20 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।এই প্যাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর ভিটামিন-সি রয়েছে।
যা সান ট্যান কমায়, স্কিনটোন সুন্দর করে|
দুধ ও বেসনের ফেসপ্যাক
১ চা চামচ বেসন ও ২ চামচ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সেটা পুরু করে মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও বয়সের ছাপ দূর করে।

beauty tips
গরমে চুলের যত্ন

চুলের যত্ন নিয়ে আমরা অনেকেই টেনশন করতে থাকি কিন্তু কয়েকটি সহজ উপায় মেনে চললে চুলকে পুষ্টি দেয়া ও সুস্থ রাখা যায়।
রোদের তাপদাহে বাইরে কিংবা ঘরে কোনভাবেই তাপ থেকে মুক্তি নেই।যেখানে তাপ আছে সেখানেই থাকবে ঘাম আর এই ঘাম চুলকে চিটচিটে বা অয়েলি করে।আবহাওয়ার এই বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা পায় না চুল। আবার ঘাম ও বাতাসের ধূলাবালি মিশে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস-এর জন্ম হয়। আর এ থেকে মাথার ত্বকে ফুসকুড়ি বা চুলকানি হয় । তাছাড়াও মাথায় খুশকি, চুলে রুক্ষতা আসে, বাতাসের আর্দ্রতা এই সময় বেশি থাকায় চুল নেতিয়েও থাকে। চুল মলিন হয়ে যায় এমন কী চুলও পড়তে শুরু করে। গরমে চুলের যত্ন না নিলে চুলের আগা ফাটা সহ নানা ধরনের সমস্যা হয়। কাজেই এই গরমের দিনগুলোয় চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া খুব দরকার ।
এই গরমে কয়েকটি সহজ টিপস মেনে চললে চুল থাকবে স্বাস্থ্যোজ্জল।
- চুল পরিষ্কার রাখা
- চুল শুকানো
- চুলে তেল দিন
- চুলের প্যাক
চুল পরিষ্কার রাখা
এই গরমে চুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।যদি ঘরে থাকেন তাহলে সপ্তাহে অন্তত চার দিন চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। আর যখন বাইরে যাওয়া হয় তাহলে ঘরে এসে অবশ্যই শ্যাম্পু করতে হবে। তবে চুলে সরাসরি শ্যাম্পু লাগাবেন না। মাথার ত্বকে ঘষে ফেনা করুন, তারপর সেই ফেনা চুলে লাগিয়ে বেশি পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তাতে অতিরিক্ত শ্যাম্পুতে চুল রুক্ষ হবে না।
চুল পরিস্কার করতে প্রাকৃতিক ক্লিনজিং উপাদান করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক শ্যাম্পু হলো রিঠা আর শিকাকাই। এতে চুল পরিষ্কার সহ খুশকি, উকুন, চুল পড়াও কমে যায়। তাছাড়া নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
চুল শুকানো
গরমে ঘেমে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় ফলে চুল পড়ে।তাই চুল পরিষ্কার করার সাথে সাথে ফ্যানের ঠান্ডা বাতাসে শুকিয়ে ফেলতে হবে। শুধু পানিতে ভেজা চুল নয়, ঘামে ভেজা চুল যত দ্রুত সম্ভব শুকিয়ে ফেলতে হবে।অনেকে চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন । যার গরম বাতাস চুল ড্যামেজ করে থাকে। যদি একান্ত জরুরি হয় তবে হেয়ার ড্রায়ারের কোল্ড এয়ার অপশন দেখে কিনতে পারেন। কোনোভাবেই ঘামে ভেজা চুল বা পরিষ্কার করা ভিজা চুল বেঁধে রাখা যাবে না।
বাহিরে ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন
এই গরমে চুলে যত্ন নিতে রোদে বাইরে বের হলে মুখ ঢাকার পাশাপাশি অবশ্যই ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।এতে চুল কড়া রোদ ও অতিরিক্ত ধূলোবালি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূর্যের মারাত্মক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা পাবে।
চুলে তেল দিন
চুলের যত্নে সবারই উচিত সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দুই দিন তেল দেওয়া। নারকেল, জলপাই, আমন্ড তেল চুলের জন্য অনেক উপকারী। তাছাড়া বাড়তি পুষ্টি ও সুরক্ষার জন্য এর সাথে মেশাতে পারেন লেবু, আমলকীর রস, পেঁয়াজের রস বা মধু।গোসলের আগে তেল দিয়ে ১০ মিনিট স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিতে হবে ।এর ফলে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে ও চুলের গোড়ায় তেল পৌঁছবে।যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
চুলের প্যাক
চুল সুন্দর ও মাথা ঠান্ডা রাখতে ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। এর প্রধান উপাদান হিসেবে বেছে নিন অ্যালোভেরা ও মেহেদী। তাছাড়া রোদে পোড়া লালচে চুলের জন্য কলা ও আমলকীর প্যাক ব্যবহার করুন।এ ছাড়া রুক্ষতার হাত থেকে চুলকে রক্ষা করতে হাতের কাছে রাখুন হাইড্রেটিং হেয়ার মিস্ট। অ্যালোভেরা জেলের সাথে জল মিশিয়ে পাতলা করে নিলে তৈরি হয়ে যাবে ঘরোয়া হেয়ার মিস্ট ।
beauty tips
অ্যালোভেরার আছে নানা গুণ

অ্যালোভেরাএকটি ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছ ।এর আরেকটি নাম হলো ঘৃতকুমারী। শরীরের অসুস্থতা এবং রূপচর্যার জন্য বহুকাল আগে থেকেই প্রচলিত এক প্রাকৃতিক ভেষজ পাতা। অ্যালোভেরার অনেক উপকারিতা রয়েছে। শরীরে নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিতে আর অসুখ-বিসুখ সারিয়ে তুলতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অতুলনীয়। এই উদ্ভিদ খাদ্য-পানীয় হিসেবে যেমন কার্যকর তেমনি তা বাহ্যিকভাবেও ব্যবহারযোগ্য। ঘৃতকুমারীর রস পান করে, সালাদ হিসেবে খেয়ে এবং ত্বক ও চুলে ব্যবহার করে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ
পাতার স্থিতিস্থাপক অংশটা তৈরি হয় পানির দ্বারা। আর এ পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপকারী উপাদান। যা মানবদেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।অ্যালোভেরা নানা ভিটামিন ও খনিজের উৎস। এটিতে প্রায় ২০ ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে। ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, ও ম্যাংগানিজ ইত্যাদি ভালো পরিমাণে রয়েছে। ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন এ, সি, ই এবং ভিটামিন বি১, বি২, বি৩,বি৬,ও ভিটামিন বি১২ রয়েছে।
শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক সব অ্যামাইনো এসিডসহ প্রায় ১৮ থেকে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এ ছাড়াও ফলিক এসিড, কোলিন, ফ্যাটি এসিড ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ।
অ্যালোভেরার উপকারিতা
হজমশক্তি বাড়াতে অ্যালোভেরা
হজমের সমস্যা থেকেই শরীরে অনেক রোগ হয়। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবার-দাবার পরিপাক বা হজমের প্রক্রিয়াটি ঠিকঠাক রাখা খুব প্রয়োজন।অ্যালোভেরাতে থাকা ল্যাকটেটিভ উপাদান পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। হজমশক্তি বাড়ায়। ঘৃতকুমারীর রস পান করার দারুণ ব্যাপার হলো এটা কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়ারিয়া দুই ক্ষেত্রেই কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
এটি শরীরে পরিপাক তন্ত্রের খাদ্য হজমকৃত ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়। যার ফলে দ্রুত খাবার হজম হয়ে যায়।পরিপাক ও রেচন যন্ত্রকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখে বলে ঘৃতকুমারীর রস পান করলে পেটে ক্রিমি হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না, কিংবা ক্রিমি থাকলেও সেটা দূর হয়।
ওজন কমাতে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা মানুষের শরীরের দ্রুত ওজন কমিয়ে দেয়। এতে মানুষের শরীরের শারীরিক গঠন সুন্দর থাকে। অ্যালোভেরায় থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড, এনজাইম আর স্টেরল। যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো শরীরের সঙ্গে মিলিত হয়ে শরীরকে করে তোলে অনেক আর্কষণীয় এবং দীর্ঘস্থায়ী। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরে জমে থাকা মেদ দূর করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা জুস কিভাবে খাবেন
অ্যালোভেরার জুসগুলো একটু তিতা। তাই এটি ব্লেন্ডার করে শাঁস, পানি, বরফ দিয়ে জুস করে সামান্য মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করা যায়।।
হার্ট সুস্থ রাখতে অ্যালোভেরা : হৃদযন্ত্র হলো মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটির সচলতা ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকবে না। আর এ হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতে অ্যালোভেরার জুস খাওয়া যায়।অ্যালোভেরার জুসের একাধিক কার্যকারিতার মধ্যে হার্টের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরাতে পলিস্যাকারাইড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোলেস্টেরল কমাতে, প্রদাহ কমাতে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ সাধারণ শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে হয়। তবে অ্যালোভেরা নিয়মিত পান করতে পারলে রক্তে গুকোজের মাত্রা কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এতে করে ডায়বেটিসসহ অন্যান্য জটিল রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।গবেষকদের মতে, প্রতিদিন ৫-১৫ এমএল অ্যালোভেরা জুস খেলে মাত্র দুইমাসের ব্যবধানে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যাবে।
দাঁতের যত্নে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। দাঁতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়।অ্যালোভেরার জুস দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। এটি দাঁত এবং দাঁতের মাড়ির কোনো ব্যথা হলে তা দূর করে দেয় এবং দাঁতে কোনো জীবাণু বা ক্ষত থাকলে দূর করে দেয়।
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরায় আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদানযা ত্বকের ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।যাদের ত্বকে দাগ বা ব্রণের সমস্যা আছে তা দূর করে।ত্বকের র্যাশ, চুলকানি, রোদে পড়া দাগ দূর করে অ্যালোভেরা জেল। এই জেল ত্বকে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ থাকে এবং বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
চুলের যত্নে : চুলের শুষ্ক ভাব এবং ত্বকের চুলকানি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুশকি দূর করে।আবার অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়ে চুলে লাগালে এতে চুলের উজ্জ্বলতাও বেড়ে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরাতে আছে অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য । যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়ক । এটি ভিটামিন B12 এর একটি উৎস ৷ যা আপনার শরীরকে ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে । তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় করে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে। এটি দেহে সাদা ব্লাড সেল গঠন করে, যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে
beauty tips
চুল পড়া রোধ করার কিছু ঘরোয়া উপায়

চুল পড়া রোধে হাতের কাছেই আছে ঘরোয়া সমাধান।
চুল পড়া ,খুশকি , স্ক্যাল্পে জ্বালাপোড়া,চুল লম্বা না হওয়া , চুলের আগা ফেটে যাওয়া,চুল পাতলা হয়ে যাওয়া কতো যে সমস্যা চুলের। নারী পুরুষ সকলেই এই সমস্যা গুলোর মধ্যে পড়ে।এই সকল সমস্যা সমাধানে আপনার হাতের কাছেই এমন উপাদান আছে যা দিয়ে আপনি নিজেই নিজের চুলের যত্ন নিতে পারবেন।
পেঁয়াজের রস
চুল পড়া রোধ করতে ও নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রস উপকারী।
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে। এবং এটি নতুন চুল গজানোর জন্য পেঁয়াজের রস এক ধরনের প্রোটিন।ঘরোয়া উপাদান এই পেঁয়াজের রস দিলে চুলের ফলিকলে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এটি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে চুল হয় আরও মজবুত। তাছাড়া পেঁয়াজের রস চুলকে অকালে পাকা হওয়া থেকে রোধ করে ।নিয়মিত ব্যবহারে চুল ভাঙ্গা কমাতে সাহায্য করে।পেঁয়াজের রসে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার ফলে খুশকি কমে। এ ছাড়াও, মাথার ত্বকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার
পেঁয়াজের রস সপ্তাহে কতোবার ব্যবহার করবে ?
গোসলের আগে পেঁয়াজের রস মাথার তালুতে ম্যাসাজ করে ২৫-৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে তিন দিন ব্যবহার করবেন।
চুল দ্রুত বাড়তে ও হেলদি করতে অ্যালোভেরা কাজ করে।
মাথার তালুতে ও চুলে অ্যালোভেরা জেল লাগান। এতে চুল দ্রুত বাড়বে এবং চুল পড়ার জন্য দায়ী প্রদাহ দূর হবে যেহেতু অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ চুলের যত্ন নিতে পারে গভীর থেকে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই চুলে পুষ্টি জুগিয়ে চুল করে তোলে ঘন ও ঝলমলে।অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা থাকায় চুলের স্ক্যাল্পের যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে অ্যালোভেরা ।যেমন খুশকি ও ফ্লেক্স কমাতে কাজ করে।অ্যালোভেরাতে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধির জন্য রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং টক্সিন বের করে দিয়ে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে। উপরন্তু, এটি একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার যা চুলকে সফট করে।এতে পলিস্যাকারাইড এবং অ্যামিনো এসিড রয়েছে রয়েছে যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে ফলে চুল হয় নরম চকচকে ও মসৃণ।
চুল পড়া রোধে অ্যালোভেরার ব্যবহার
আঅ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চুল শ্যাম্পু করে নিবেন ,তারপর অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ২৫-৩০ মিনিট রেখে নরমাল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
চুলের যত্নে ঘরোয়া উপাদান নারিকেল তেল খুবই উপকারী, কারণ এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুলকে ভিতর থেকে ময়েশ্চারাইজড করে।
নারকেল তেল চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। এছাড়াও চুলের গোড়া মজবুত করে। হেয়ার ফলিকল হলো ত্বকের ডার্মাল স্তরে অবস্থিত একটি অঙ্গ, যা চুলের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে চুলে সিল্কি, শাইনি ইফেক্ট দেখা যায়।এতে থাকা বিভিন্ন ফ্যাটি অ্যাসিড স্ক্যাল্প ইনফ্ল্যামেশন থেকেও সুরক্ষা দেয়। যেহেতু খাঁটি নারিকেল কিছুটা থিক,তাই এটি শ্যাম্পু করার আগে স্ক্যাল্পে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয় ও চুল পড়া কমে।এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে যা চুলের উপরে আর্দ্রতার স্তর তৈরি করে। এছাড়া এটি চুলে বাড়তি শাইন যোগ করে। এবং চুলে প্রোটিনের মাত্রা ধরে রাখে।
চুল পড়া রোধে নারকেল তেলের ব্যবহার
নারকেল তেল ব্যবহার করার আগে চুল মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আচড়িয়ে নিন।তারপর নারকেল তেল হালকা গরম করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে , চুল মজবুত হবে। ২৫-৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন
ডিম
চুল পড়া রোধে ডিম হতে পারে আপনার হাতের কাছে থাকা সবচেয়ে সহজ উপাদান।নতুন চুল গজানো, চুলের বৃদ্ধি ও ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে ডিম খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।এতে থাকা ভিটামিন এ, ডি এবং কে মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে চুল পড়া রোধ করতে ও চুলের বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে ডিমে থাকা প্রোটিন। এতে থাকে ‘বায়োটিন’ নামে একটি উপাদান, যা চুল মজবুত করে।এছাড়া ডিমে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে ।
অনেকর মনে প্রশ্ন থাকে ডিমের কোন অংশ ব্যবহার করবেন।
চুলে ডিমের কোন অংশ মাখতে হয়?
ডিমের হলুদ অংশটি অর্থাৎ কুসুমে ভরপুর মাত্রায় বায়োটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। যা মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় । হেয়ার ফলিকল মজবুত করেএবং চুল পড়া রোধ করে । রুক্ষ, শুষ্ক চুল মোলায়েম করতে পারে ডিমের কুসুম কারন এটি মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে।চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো প্রোটিন যা ডিমের সাদা অংশটিতে বেশি। এজন্য এটি ক্ষতিগ্রস্ত, নিষ্প্রাণ চুল রেশমের মতো করে তুলতে পারে।ডিমের সাদা অংশে উৎসেচক বা এনজাইম থাকে যা মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে এবং অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই যাদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত তারা ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করবেন।
চুল পড়া রোধে ডিমের ব্যবহার
ডিমের সাথে কি দিলে চুল সিল্কি হয়?
ডিম মাস্ক তৈরি
একটি বাটিতে 1 বা 2টি ডিম ফাটিয়ে, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল যোগ করুন ও ভালোভাবে মিশিয়ে নিন । তারপর মিশ্রণটি চুলে লাগান । এটি ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য রাখুন ও তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । এটি আপনার চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে ও চকচকে করে তোলে |
টক দই
খুশকি কমাতে ঘরোয়া চিকিৎসায় টক দই খুব কার্যকরী।
টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ,ফ্যাট ও লেকটিক এসিড আছে ।যা রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে সতেজতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। টক দই চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। তাই টক দই চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।এছাড়া খুশকির সমস্যা কমিয়ে দেয় টক দই। টক দই স্ক্যাল্পের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে ।এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।দইয়ের ফ্যাট আর ল্যাকটিক অ্যাসিড চুলে আর্দ্রতা জুগিয়ে তা নরম আর কোমল রাখে। আসলে দই চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতোই কাজ করে।শীতকালে শুষ্ক ও রুক্ষ চুলের যত্নে টকদই অব্যর্থ উপাদান।চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু হল খুসকি। খুসকি কমানো একদিকে যেমন কঠিন, তেমনি অস্বস্তিকরও বটে।কারণ অতিরিক্ত খুশকি মাথায় চুলকানি ও স্ক্যাল্পকে ড্যামেজ করে ।প্রোটিন আর ভিটামিন বি5-এ ভরপুর দই আপনার স্ক্যাল্পে আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি খুসকির সমস্যা দূর করে। দইয়ের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াধর্মী গুণ মাথার তালুর চুলকুনি আর জ্বালাভাব কমায।দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে। যা মাথায় জমে থাকা মৃত কোষ দূর করে, ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুলের উন্নতি ঘটে।
চুল পড়া কমাতে টকদইয়ের ব্যবহার
টকদই দিয়ে হেয়ার মাস্ক
এক কাপ টক দই আর দু’ চাচামচ মধু একটা বাটিতে মিশিয়ে নিন |তারপর এই মিশ্রণটি চুলে আর স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে নিন।মাস্কটি 20- ২৫ মিনিট চুলে রেখে তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক চুল পড়া রোধ করতে সহায়তা করে।দই আর মধু একসঙ্গে আপনার স্ক্যাল্প শীতল রাখবে, চুল ও থাকবে মোলায়েম। যাঁদের মাথার তালু আর চুল শুষ্ক, তাঁদের জন্য এই কন্ডিশনিং মাস্কটি খুবই কার্যকর।
-
beauty tips1 month ago
চুল পড়া রোধ করার কিছু ঘরোয়া উপায়
-
Fitness1 month ago
ওজন কমানোর কিছু কার্যকরী উপায়
-
Food Guides1 month ago
রোজায় সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন
-
Personal Development1 month ago
এক ফালি আদার আছে অনেক গুণ
-
beauty tips1 month ago
অ্যালোভেরার আছে নানা গুণ
-
Uncategorized10 months ago
The Advantages of Ice facial
-
Mindfulness6 months ago
Mindfulness
-
Uncategorized9 months ago
Abaya Fashion